ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ , ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​শেখ হাসিনার আমলে ১৬ শতাধিক মানুষ গুমের শিকার

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ০৫-১১-২০২৪ ০২:২৭:৩০ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ০৫-১১-২০২৪ ০২:২৮:০৪ অপরাহ্ন
​শেখ হাসিনার আমলে ১৬ শতাধিক মানুষ গুমের শিকার ​সংবাদচিত্র : সংগৃহীত
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিগত শাসনামলে ১৬শতাধিক মানুষ গুম হয়েছেন। অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত গুম কমিশনে জমা হওয়া আবেদনের ভিত্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গুমের ঘটনা তদন্তে হাইকোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে এই কমিশন গঠন করে সরকার। গত ২৭ আগস্ট কমিশন গঠন করা হয়।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গুমের ঘটনা তদন্তে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত কমিশনে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৬০০’র বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকালে কমিশনের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান। 
মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘গত ৩১ অক্টোবর গুম সংক্রান্ত কমিশনে অভিযোগ জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে এক হাজার ৬০০’র বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। ইতোমধ্যে ১৪০ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৪০০ অভিযোগ খতিয়ে দেখা হয়েছে। গুম হওয়া ২০০ শ’র বেশি মানুষকে এখনো খোঁজ করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। এবং গুমের সঙ্গে কারা সংশ্লিষ্ট সেসব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
বিচারপতি মইনুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ আসামিদের কীভাবে অ্যারেস্ট করবে, তার ডিটেলস গাইড লাইন আছে। সেটা কিন্তু ফলো করা হয়নি। আইজিপি দেশের বাইরে আছেন, তিনি দেশে এলে কমিশনে নিয়ে আসব। একটা সার্কুলার দেওয়ার জন্য বলব। তাহলে মানুষের দুর্ভোগ কমবে, ভায়োলেন্স হবে না।’
গুমের সঙ্গে বাহিনীর কতজন সদস্য সংশ্লিষ্ট, প্রশ্নে তিনি বলেন, সেই সংখ্যাটা এখনো বলা যাবে না। ৭ তারিখ থেকে বাহিনীর সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হবে। আমরা সমন ইস্যু করে দিয়েছি। প্রথম দিন সাতজনকে ডাকা হয়েছে। তারপর তিনজন, সাতজন, পাঁচজন এভাবে চলতে থাকবে। এখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ডিজিএফআই’র সদস্য রয়েছে। প্রাথমিকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে ডিজিএফআই, র্যাব, ডিবি, সিটিটিসি, সিআইডি, পুলিশ তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, পুলিশ, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বিশেষ শাখা, গোয়েন্দা শাখা, আনসার ব্যাটালিয়ন, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), প্রতিরক্ষা বাহিনী, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই), কোস্টগার্ডসহ দেশের আইন প্রয়োগ ও বলবৎকারী কোনো সংস্থার কোনো সদস্যের হাতে জোর করে গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানের জন্য এই তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে।   

বাংলা স্কুপ/প্রতিবেদক/এনআইএন/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ